230 likes | 321 Views
Web payment Systems. ব্যবসা-বাণিজ্য মানেই আর্থিক লেনদেন থাকবে । সনাতন বাণিজ্য পদ্ধতি এবং বর্তমান বাণিজ্য পদ্ধতি; এর মধ্যে অনেক পার্থক্য । আগের বাণিজ্য পদ্ধতিতে আর্থিক লেনদেন হতো নগদ কিংবা চেকের মাধ্যমে এবং দূর-দূরান্তে লেনদেন হতো হুন্ডি, পে-অর্ডার, ডিডি কিংবা টিটি ইত্যাদির মাধ্যমে ।
E N D
ব্যবসা-বাণিজ্য মানেই আর্থিক লেনদেন থাকবে। সনাতন বাণিজ্য পদ্ধতি এবং বর্তমান বাণিজ্য পদ্ধতি; এর মধ্যে অনেক পার্থক্য। • আগের বাণিজ্য পদ্ধতিতে আর্থিক লেনদেন হতো নগদ কিংবা চেকের মাধ্যমে এবং দূর-দূরান্তে লেনদেন হতো হুন্ডি, পে-অর্ডার, ডিডি কিংবা টিটি ইত্যাদির মাধ্যমে। • বর্তমানে আর্থিক লেনদেন হয় ইলেকট্রনিক উপায়ে। দূরে কিংবা কাছে যেখানেই হোক না কেন আর্থিক লেনদেন করা যায় ইন্টারনেট কিংবা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। • এই লেনদেন পদ্ধতিকে সম্বল করেই বিস্তৃতি লাভ করেছে ইলেকট্রনিক শপিং, ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং, ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফারিং ইত্যাদি বিষয়।
http://www.shamokaldarpon.com/?p=2614#more-2614 • http://www.youtube.com/watch?v=y3eR_6z6NoM&NR=1
ই-ব্যাংকিং • সাধারণভাবে ই-ব্যাংকিং বলতে বোঝায় একজন ব্যক্তি তার এ্যাকাউন্টে ২৪ ঘণ্টার যেকোন সময়ে টাকা উত্তোলনের জন্য এবং জমা দেয়ার জন্য এটিএম (অটোমেটিক টেলার মেশিন)-এর মাধ্যমে এঙ্সে নেয়াকে। • কিন্তু ই-ব্যাংকিং এখন আর শুধু টাকা উত্তোলন এবং টাকা জমা দেয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এখন ই-ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে অনেক ব্যাংকিং-এর কাজ করা যায়। তাই এই পদ্ধতি এখন ইএফটি বা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারে রূপানত্মরিত হয়েছে। • এই পদ্ধতিতে লেনদেন করতে গেলে একটি কার্ড বা এঙ্সে কোড ব্যবহার করতে হয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যাংকিং করতে গেলে পিআইএন (পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) ব্যবহার করতে হয়, যা ব্যাংক কতর্ৃক প্রদত্ত।
ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার যে সকল সার্ভিস প্রদান করে থাকে_ ক. এটিএম (অটোমেটিক টেলার মেশিন) ২৪ ঘণ্টা একজন ব্যাংক এ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে টাকা উত্তোলন, টাকা জমা দেয়া, এক এ্যাকাউন্ট থেকে অন্য এ্যাকাউন্টে ফান্ড ট্রান্সফার করার সুবিধা প্রদান করে থাকে। তবে অনেক সময় ভিন্ন দেশ হলে ট্রান্সজেকশনের জন্য ব্যাংক থেকে একটি নির্দিষ্ট টাকা কাটা হয়। খ. এই সার্ভিসের মাধ্যমে বিদু্যত বিল, ইন্সু্যরেন্স প্রিমিয়াম, টেলিফোন বিল, মাসিক সঞ্চয় প্রকল্পের কিসত্মি ইত্যাদি সরাসরি এ্যাকাউন্ট থেকে ট্রান্সফার করা যায়। গ. ফোন কলের মাধ্যমেও ব্যাংকিং সুবিধা রয়েছে। সরাসরি ফোন করে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ যেকোন এ্যাকাউন্টে ট্রান্সফারসহ অন্যান্য লেনদেনও করা সম্ভব। ঘ. কম্পিউটারের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করেও ব্যাংকিং লেনদেন সম্পন্ন করা যায়। ঙ. ইলেকট্রনিক চেক প্রদান করতে হলে ব্যাংকিং তথ্য সংবলিত একটি প্রিন্ট কপি প্রদান করা হয়, যাতে প্রদানকারী স্বাৰর প্রদান করেন । তবে অনলাইনে আগে সংশিস্নষ্ট ব্যাংক এ্যাকাউন্টে এঙ্সে নিয়ে অর্থ প্রদানের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে হয়।
এটিএম কার্ডের অনিরাপত্তা • যেকোন সময় যে কোনভাবে এটিএম কার্ড চুরি হয়ে গেলে অথবা হারিয়ে গেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কার্ড সার্ভিস সেকশনে জানানো উচিত। না হয় যে কোন হ্যাকারের হাতে পড়লে, এ্যাকাউন্টের সকল টাকা আত্মসাত হতে পারে। কাজেই এটিএম কার্ডের সুবিধা যেমন আছে তেমনি নিরাপত্তাহীনতাও রয়েছে।
নিরাপত্তা • সাধারণত ব্যাংক এটিএম কার্ড ব্যবহারের জন্য পিআইএন প্রদান করে থাকে, কিন্তু তাতে অনেক রিস্ক থেকে যায়। তাই আরেকটি ব্যবস্থা হলো এককালীন ব্যবহার করার জন্য পাসওয়ার্ড। পুনঃব্যবহারের জন্য অনলাইন পদ্ধতিতে একাধিকবার পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করা যায় কিংবা রেনডম সিকিউরিটি জেনারেটরের মাধ্যমে পাসওয়ার্ড জেনারেট করে কার্ড ব্যবহার করা যায়।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ই-কমার্স • ই-কমার্সের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ই-শপিং ততটা না এগুলোও ই-ব্যাংকিং যথেষ্ট এগিয়েছে। ই-ব্যাংকিং-এর ৰেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়েছে ডাচ্বাংলা ব্যাংক। তারা এটিএম কার্ড সুবিধাসহ ইন্টারনেট ব্যাংকিং কিংবা মোবাইলসহ সকল সুবিধাই প্রদান করছে। • মোবাইল ব্যাংকিং-এর ৰেত্রে নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বরটি ব্যাংকে রেজিস্ট্রেশন করাতে হয়। তখন ব্যাংক একটি পাসওয়ার্ড প্রদান করে। • আর ইন্টারনেট ব্যাংকিং-এর ৰেত্রেও ব্যাংক থেকে ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করতে হয়। • ডাচ্-বাংলুা ব্যাংক আরেকটি অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করছে। তা হলো অন্য কিছু নির্দিষ্ট ব্যাংকের এটিএম কার্ড ব্যবহার করে তাদের বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করা যায়। তবে তার জন্য সামান্য সার্ভিস চার্জ কেটে নেয়। এছাড়াও এখন বাংলাদেশে ই-ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে বিদ্যুত বিল, টেলিফোন বিলসহ মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প সব কিছুতেই টাকা ট্রান্সফার করা যায়।
এ ছাড়া কিছু মোবাইল কোম্পানি ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে দূর-দূরান্তে টাকা পাঠানোর জন্য নতুন সার্ভিস প্রদান করছে। তন্মধ্যে একটি হলো 'রবি' মোবাইলের "বিকাশ"। মোবাইল কোম্পানিগুলো কোন না কোন ব্যাংকের মাধ্যমেই সার্ভিসটি প্রদান করছে। • কাজেই ই-শপিং, ই-ব্যাংকিং, ই-ট্রান্সজেকশন সবই আমাদের দেশে অনেক সম্ভাবনাময়। তখন স্বল্পসময়েই সম্ভব হবে অনেক কাজ। কমে যাবে কাগজের ব্যবহার। বাড়বে নিরাপত্তা। মানুষ দূরে থাকলেও চলে আসবে একে অপরের অনেক কাছাকাছি। • যেমনটা করা যায় ব্যাংকের টাকা উত্তোলনের ৰেত্রে। এ্যাকাউন্ট বাংলাদেশের যেকোন শাখায়ই থাকুক না কেন বাংলাদেশের যেকোন বুথ থেকে এটিএম কার্ড ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন করা যায়।
অনলাইনে অর্থ আনার পদ্ধতি • টাকা হাতে পাওয়ার জন্য আপনার প্রয়োজন অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা। বাংলাদেশে কাজটি খুব সহজ না। বাংলাদেশে ভিসা-মাষ্টারকার্ডের মত আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের প্রচলন নেই। এর বাইরে পে-পলের মত অনেক সেবাই বাংলাদেশ থেকে ব্যবহার করা যায় না। • অনলাইনে অর্থ লেনদেনের প্রধানত ক্রেডিট কার্ডযেমন: ভিসা, মাস্টার কার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেস ইত্যাদি • এবং আন্তর্জাতিক গেটওয়ে যেমন :পেপল, মানিবুকার্সইত্যাদির মাধ্যমে হয়ে থাকে।
আন্তর্জাতিক গেটওয়ে (পেপল) • অনলাইনে অর্থ লেনদেনের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইট পেপল [www.paypal.com]. এটি হচ্ছে অনলাইন পেমেন্ট প্রসেসর। পেপলের মাধ্যমে অনলাইনে যে কাউকে তাৎক্ষণিক টাকা পাঠানো এবং সেই টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলনও করা যায়। • এ ছাড়া ই-কমার্স সাইট করতে চাইলে যে কোনো মার্চেন্ট থেকে অ্যাকাউন্ট নিলেই প্রতিমাসে বিক্রয় হোক বা না হোক, একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার দিতে হয়; কিন্তু মাধ্যম পেপল হলে প্রতি মাসে এ ধরনের চার্জ দিতে হয় না বিক্রয় মূল্য থেকে পেপল কমিশন রেখে দেয়। • তাদের সাইটে গিয়ে বিনামুল্যে একাউন্ট করা যায় (বাংলাদেশসহ কিছু দেশ বাদে)। • লেনদেনের জন্য শুধুমাত্র ই-মেইল এড্রেস ব্যবহার করতে হয়। অর্থাত আপনি যারকাছে টাকা পাবেন তাকে ই-মেইল এড্রেস জানালে তিনি আপনার একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিতে পারেন। একইভাবে কোথাও অর্থ দেয়া প্রয়োজন হলে (যেমন সার্ভার ভাড়া করা বা সফটঅয়্যার কেনা) আপনি পে-পল একাউন্ট থেকে টাকা দিতে পারেন। কিংবা অনলাইনে কিছু কিনতে পারেন। • প্রায় সব কোম্পানী এই ব্যবস্থা ব্যবহার করে। বাংলাদেশ থেকে পে-পলের সদস্য হওয়া যায় না। সরকার এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জানালেও বাস্তবে সেটা এখনো হয়নি।
মানিবুকারস • মানিবুকারস হচ্ছে ইন্টারনেটভিত্তিক অর্থ লেনদেনের নিরাপদ, ঝামেলাবিহীন এবং সাশ্রয়ী একটি মাধ্যম। পেপলের পরই মানিবুকার্স [moneybookers.com] জনপ্রিয় পেমেন্ট প্রসেসর। • এখানেও ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করে টাকা লেনদেন করা হয়। বাংলাদেশে মানিবুকারস ব্যবহার করা যায়্ তবে এর জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহার পে-পলের থেকে কম। • ফলে যে কোম্পানী এই ব্যবস্থা ব্যবহার করে কেবলমাত্র তাদের সাথে লেনদেনের কাজ করতে পারেন। সদস্য হতে টাকা দিতে হয় না, তবে প্রতিটি লেনদেন থেকে সার্ভিস চার্জ হিসেবে কিছু টাকা কেটে নেয়া হয়। নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট থেকে এখানে জমা হওয়া টাকা উঠানো যায়। • মানিবুকার্স থেকে অন্য মানিবুকার্স অ্যাকাউন্টে তাৎক্ষণিকভাবেও টাকা পাঠানো যায়। এ ছাড়া ই-কমার্স সাইট করতে হলেও মানিবুকার্স হতে পারে প্রথম পছন্দ। কেননা মানিবুকার্সে কমিশন রেট পেপল থেকে অনেক কম এবং সব ধরনের ক্রেডিট কার্ড সমর্থন করে। • মাত্র ৩ ডলার ফি দিয়ে বাংলাদেশে যেকোনো ব্যাংকে টাকা নিয়ে আসা যায়। এটিকে অনেক সময় পেপালের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে, কোনো মার্কিন নাগরিক মানিবুকারসে রেজিস্ট্রেশন করতে পারে না। ফলে এ পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আয় করা সম্ভব নয়।
এলার্ট-পে • এটাও ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করে টাহা স্থানান্তরের পদ্ধতি। তাদের একাউন্টে জমা হওয়া টাকা ব্যাকের মাধ্যমে কিংবা চেক, অয়্যার ট্রান্সফার, ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে উঠানোর যায়। এছাড়া কয়েকটি দেশের জন্য তাদের নিজস্ব কার্ড রয়েছে। • বাংলাদেশ থেকে এলার্ট-পে ব্যবহার করা যায়। এর ৩ ধরনের একাউন্ট রয়েছে। বাংলাদেশের জন্য টাকা পেতে পারসোনাল প্রো তে ২.৫+ .২৫% ডলার এবং বিজনেস একাউন্টে ২.৫ + ২৫% ডলার ফি দিতে হয়। টাকা পাঠানোর সময় কোন খরচ নেই।
ব্যাংক থেকে ব্যাংকে ওয়্যার ট্রান্সফার • এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে টাকা পাঠানোর পদ্ধতি। আপনি যারকাছে অর্থ পাবেন তিনি তার ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা পাঠাবেন। সেটা জমা হবে আপনার ব্যাংক একাউন্টে। দেশ এবং অর্থপরিমান ইত্যাদি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে লেনদেনের জন্য ফি দিতে হয়। • এই পদ্ধতিতে ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে অর্থ সরাসরি ব্যাংকে জমা হয়ে যায়। এটি ঝামেলাবিহীন এবং নিরাপদ একটি পদ্ধতি। কিন্তু এ পদ্ধতিতে খরচ পড়ে অনেক বেশি, প্রায় ৪৫ ডলারের মতো। এই পদ্ধতিটি আউটসোর্সিং সাইটগুলোতে খুব একটা জনপ্রিয় নয়।
ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়ন • ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়ন ব্যবহার করে অনলাইনে বা ফোনের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করা যায় কিংবা অনলানে বিল দেয়া, কেনাকাটা করা যায়। একাজ করতে হয় তাদের কোন এজেন্ট (ব্যাংক)এর মাধ্যমে। টাকা প্রদানের জন্য নির্দিষ্ট কোড ব্যবহার করা হয় বলে লেনদেন নিরাপদ। • কিছু কিছু ফ্রিল্যান্সিং সাইট রয়েছে যাতে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করা যায়। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে www.RentACoder.com। এটি খুবই সহজ এবং দ্রুত একটি পদ্ধতি। বাংলাদেশ সরকার এই পদ্ধতিতে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ব্যক্তিকে টাকা পাঠানোর অনুমতি দেয় না।
ব্যাংক চেক • আপনার নামে সরাসরি ব্যাংক চেক পাঠানো হবে। আপনি স্থানীয় ব্যাংক থেকে তার বিপরীতে টাকা উঠাতে পারেন। গুগল, চিতিকা এবং আরো কিছু কোম্পানী এই ব্যবস্থা ব্যবহার করে। সমস্যা হচ্ছে, চেক হারিয়ে যেতে পারে, হাতে পেতে দেরী হতে পারে। গুগলের এমন ব্যবস্থা রয়েছে যেখানে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে কুরিয়ারের মাধ্যমে চেক নিতে পারেন। এতে দ্রুত চেক পাওয়া যায়। • ক্রেডিট কার্ডের সাথে গুগলের চেক-আউট একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। এগুলি ছাড়াও এধরনের আরো বেশকিছু পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে অনলানে অর্থ লেনদেন করা যায়। • এ পদ্ধতিতে অর্থ উত্তোলনে ফ্রিল্যান্সারদের যথেষ্ট ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কোনো কোনো ওয়েবসাইট থেকে এই পদ্ধতি ছাড়া অর্থ উত্তোলনের অন্য কোনো উপায় নেই। উদাহরণস্বরূপ, গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয়ের টাকা উত্তোলনের একমাত্র উপায় হচ্ছে চেকের মাধ্যমে। • এই পদ্ধতির প্রধান সমস্যা হচ্ছে চিঠি পেতে মাসখানেক সময় লেগে যায়। তারপর সেই চেক ব্যাংকে নিজের অ্যাকাউন্টে জমা দেবার পর টাকা জমা হতে আরও কয়েক সপ্তাহ লেগে যায়। তার ওপর ১০০ ডলারের একটি চেকে ব্যাংককে ২৫ ডলারের মতো ফি দিতে হয়।
ক্রেডিট কার্ড • ক্রেডিট কার্ডে যে কোনো জায়গা থেকে অনলাইনে পেমেন্ট করা যায়। তবে ক্রেডিট কার্ডে রয়েছে প্রকারভেদ এবং নির্দিষ্ট ক্রেডিট সীমা। সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রেডিট কার্ড হচ্ছে ভিসা ও মাস্টার কার্ড। • অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে ভিসা ও মাস্টার কার্ড পেমেন্ট সব সাইটে গ্রহণযোগ্য। বাংলাদেশে দু'ধরনের ভিসা ও মাস্টার কার্ড প্রচলিত। এর মধ্যে লোকাল কার্ডের মাধ্যমে অনলাইনে পেমেন্ট করা সম্ভব নয়। তবে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডে অনলাইন পেমেন্ট করা যায়। • অনলাইনে ভিসা বা মাস্টার কার্ড দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পেমেন্ট করতে হলে, অবশ্যই একটি এফসি অ্যাকাউন্ট দরকার হয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় বিদেশ ভ্রমণের বাধ্যবাধকতা। বিদেশ থেকে ঘুরে আসার এক মাসের মধ্যে ওই অ্যাকাউন্টে যে পরিমাণ ডলার জমা থাকে তা ভিসা বা মাস্টার কার্ডের লিমিট হিসেবে ধরা হয়। এই অর্থ ভাগে ভাগে বা এক সঙ্গে অনলাইনে ব্যয় করা যায়।
ক্রেডিট কার্ড • তবে এফসি অ্যাকাউন্ট না থাকলে ইউসিবিএল ব্যাংকের আই কার্ড ব্যবহার করা যায়। এই কার্ডের জন্য বিদেশ যেতে হবে না। • এই কার্ডের মাধ্যমে বছরজুড়ে সর্বোচ্চ ৫০০ ডলার খরচ করা যায়। অনলাইনে কাজ করলে অনলাইনে পেমেন্ট করার মতো মাস্টার কার্ড পাওয়া সহজ হয়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত রয়েছে পেওনিয়্যর ওয়েবে [[www.payoneer.com]. • আর ই-কমার্স সাইটে ভিসা বা মাস্টার কার্ড দ্বারা পেমেন্ট রিসিভ করতে চাইলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে টুচেকআউট [2checkout.com]. এ ছাড়াও ব্র্যাক ব্যাংক শুরু করেছে দেশীয় মার্চেন্ট সার্ভিস। • ফলে ব্র্যাক ব্যাংক থেকে মার্চেন্ট সার্ভিস নিয়েও ই-কমার্স শুরু করা যায়।
পেওনার ডেবিট মাস্টারকার্ড • ইদানীং প্রায় সব আউটসোর্সিং সাইটে মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের সুবিধা দিয়ে থাকে।বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের কাছেও এটি বেশ জনপ্রিয়। • এ পদ্ধতিতে প্রথমে ফ্রিল্যান্সারদের ঠিকানায় একটি মাস্টারকার্ড পাঠিয়ে দেয়া হয়। • এরপর মাস শেষে ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে কার্ডে অর্থ জমা হয়ে যায়, যা আমাদের দেশের কয়েকটি ব্যাংকের ATM থেকে যেকোনো সময় টাকা তোলা যায়। • প্রতিবার টাকা উত্তোলন করতে ২ ডলারসহ উত্তোলন করা অর্থের ৩% ফি দিতে হয়। আবার এই কার্ড দিয়ে অনলাইনে ডোমেইন, সার্ভার স্পেস বা যেকোনো ধরনের পণ্য কেনাকাটাও করা সম্ভব। • তবে অনলাইনে এভাবে কেনাকাটা করাটা ভাইরাস এবং স্পাইওয়্যারের কারণে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় কার্ড হ্যাক হয়ে সব হারানোর আশঙ্কা থাকে।
পেমেন্ট ট্রান্সফার • বাংলাদেশে যেহেতু এখনও পেপল সমর্থন করে না, তাই অনেকে পেপলের ডলার মানিবুকার্সে নিতে চায়। কিন্তু, সাধারণভাবে এই এটি অসম্ভব। তবে সার্ভিস চার্জের বিনিময়ে মার্কেট স্পট [marketspot.cn] এই সেবা প্রদান করে থাকে। সেক্ষেত্রে পেপল থেকে এলার্টপে বা মানিবুকার্সে অর্থ স্থানান্তর করা যায়। এ ছাড়াও বাংলাদেশিদের জন্য অনলাইন পেমেন্ট সাপোর্ট প্রদান করছে www.onlinepaymentbd.com
উত্তোলনের সীমা ৫০০ ডলার কেন? • ইন্টারনেটে অর্থ লেনদেনের নিরাপদ ও জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান পেপলে বর্তমানে ১৯০টি দেশের সেবা রয়েছে। • বাংলাদেশে পেপল কার্যক্রম পরিচালনা না করলেও অনেকফ্রিল্যান্সিং সাইট পেপলে বিল প্রদান করে থাকে। সেক্ষেত্রে দেশের ফ্রিল্যান্সারদের একটি বড় অংশ বিড়ম্বনায় পড়েন। • ঝামেলা এড়াতে তারা তৃতীয় পক্ষের সহায়তা নিচ্ছে। তবে ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের অর্থ উত্তোলনে একটা বড় অংশই চলে যাচ্ছে তাদের হাতে। ইন্টারনেটে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা দেশের বাইরে অবস্থান করে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার বিনিময়ে পেপলের সেবা দিচ্ছে। • এ ছাড়া অনেকে দেশ হিসেবে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে পেপলে চালাচ্ছেন। অনেক সময় তাদের অ্যাকাউন্ট লিমিটেড অর্থ তোলার সুবিধা বাতিলকরে দিচ্ছে পেপল। তবে সংশ্লিষ্টরা প্রত্যাশা করছেন, অনলাইনে লেনদেনে যে যুগান্তকারী সূচনা হয়েছে এর পরিসর দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
ফ্রিল্যান্সাররা দাবি করছেন ইন্টারনেটে অর্থ উত্তোলনে সীমা যেন আরও বাড়ানো হয়। অনেকে প্রতি মাসে কয়েক হাজার ডলার আয় করে থাকেন। সেক্ষেত্রে ৫০০ ডলার উত্তোলনের সীমায় তারা আটকা পড়ে সুবিধাবঞ্চিত হবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক দেশ থেকে অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে অন্তত এই সীমা উঠিয়ে নিলে রেমিট্যান্স প্রবাহে নতুন অধ্যায় সূচিত হবে।