স্বাগতম

1. স্বাগতম

2. সেলিনা আক্তার সহকারী শিক্ষক চরকুমারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষক পরিচিতি

3. বিষয় পরিচিতি • বিষয় : বাংলা ১ম পত্র • শ্রেণী: নবম • উপস্থিত ছাত্রসংখ্যা :৫০ জন • সময় : ৫০ মিনিট

5. পাঠ শিরোনাম • আজকের পাঠ : কবিতা • কপোতাক্ষ নদ • কবি : মাইকেল মধুসূধন দত্ত

6. কবি পরিচিতি • জন্ম : ২ জানুয়ারী ১৮২৪ খ্রিঃ • যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে • তিনি ১৮৪২ খ্রিঃ খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন • তাঁর অমর কীর্তি : মেঘনাদবধ কাব্য • মৃত্যু : ২৯ জুন ১৮৭৩ খ্রিঃ

7. শিখণ ফল • “কপোতাক্ষ নদ” কি ধরণের কবিতা জানতে পারবে । • জন্মভূমির প্রতি কবির ভালবাসা সর্ম্পকে জানবে । • শিক্ষার্থীরা দেশ প্রেমে উদ্ধুদ্ধ হবে ।

8. কপোতাক্ষ নদ সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে ! সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে ; সতত ( যেমতি লোক নিশার স্বপনে শোনে মায়া-মন্ত্রধ্বনি) তব কলকলে জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে ! সতত = সর্বদা । বিরলে = একান্ত নিরিবিলিতে। নিশা = রাত্রি। ভ্রান্তি = ভুল।

9. বহু দেশে দেখিয়াছি বহু নদ – দলে , কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে? দুগ্ধ – স্রোতোরূপী তুমি জন্মভূমি–স্তনে।

10. পাঠ উপস্থাপন • ‘কপোতাক্ষ নদ’ একটি চর্তুদশপদী কবিতা। কবিতাটি কবির “চতুর্দশপদী কবিতাবলি” থেকে গৃহীত হয়েছে । ইংরেজীতে Sonnet, বাংলায় চর্তুদশপদী কবিতা। এ কবিতায় চৌদ্দটি চরণ থাকে। প্রথম আট চরণের স্তবককে ‘অষ্টক’ এবং পরের ছয় চরণের স্তবককে’ ষষ্টক’ বলে ।

11. পাঠ উপস্থাপন • কবিতায় কবির স্মৃতিকাতরতার আবরণে তাঁর অত্যুজ্জ্বল দেশপ্রেম প্রকাশিত হয়েছে । কপোতাক্ষ নদ যেন তাঁর স্বদেশের জন্য হৃদয়ের কাতরতা বঙ্গবাসীদের নিকট ব্যক্ত করেন- যিনি প্রবাসজীবনেও গানে , কবিতায় শৈশবে – কৈশোরের স্মৃতিবিজড়িত নদীর কথা লিখেছেন । সুদূর ফ্রান্সে বসেও তিনি যেন এই নদের কলকল ধ্বণি শুনতে পান। কত দেশে কত নদ-নদী তিনি দেখেছেন, কিন্তু জন্মভূমির এই নদ যেন মায়ের স্নেহ ডোরে তাঁকে বেধেঁছে।

12. দলীয় কাজ • “চতুর্দশপদী কবিতা” বলতে কী বুঝ? • ‘স্নেহের তৃষ্ণা’ বলতে কি বোঝানো হয়েছে ?

13. একক কাজ • সতত – অর্থ কি ? • Sonnet –কি ? • কপোতাক্ষ নদ কবিতাটি রচনাকালে কবি কোন দেশে ছিলেন ?

14. মূল্যায়ন • মধুসূদন দত্তের’ অমর কীর্তির’ নাম কি ? • ‘অষ্টক’ কি ? • ‘ বিরলে’ শব্দের অর্থ কি ?

15. বাড়ির কাজ • “কপোতাক্ষ নদ” কবিতার আলোকে কবির স্বদেশপ্রেমের পরিচয় দাও।

16. ধন্যবাদ