250 likes | 813 Views
স্বাগতম. পরিচিতি দীপংকর মন্ডল ফুলবাড়ী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কুয়েট, খুলনা। বিষয়ঃ সাধারণ বিজ্ঞান শ্রেণীঃ ৬ষ্ঠ, শাখা- ক, পাঠশিরোনামঃ ভূপৃষ্ঠ।. ভূপৃষ্ঠের ভূমিরুপের বর্ণনা করতে পারবে।. স্থলভাগের বর্ণনা করতে পারবে।. পর্বতের সঙ্গা বলতে পারবে।.
E N D
পরিচিতি দীপংকর মন্ডলফুলবাড়ী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়কুয়েট, খুলনা।বিষয়ঃ সাধারণ বিজ্ঞান শ্রেণীঃ ৬ষ্ঠ, শাখা- ক,পাঠশিরোনামঃ ভূপৃষ্ঠ।
ভূপৃষ্ঠের ভূমিরুপের বর্ণনা করতে পারবে। স্থলভাগের বর্ণনা করতে পারবে। পর্বতের সঙ্গা বলতে পারবে। পর্বতের শ্রেণী বিভাগ ও শ্রেণী বিভাগের ব্যাখ্যা করতে পারবে। উপত্যকার ও উপত্যকার শ্রেণী বিভাগের বর্ণনা করতে পারবে।
ছবি গুলো দেখে তোমরা বলো কী?
আমাদের বাসভূমি- এই পৃথিবী প্রথমে উত্তপ্ত বাষ্পীয় অবস্থায় ছিল। পরে ধীরে ধীরে শীতল হয়ে তরল এবং আরও ঠান্ডা হয়ে কঠিন আকার ধারণ করে। এরূপে পৃথিবী উপরিভাগে কঠিন আবরনে সৃষ্টি হয়। ভূপৃষ্ঠ কঠিন আকার ধারণ করার সময় সংকুচিত হয়ে কোথাও উঁচু আবার কোথাও নিচু হয়ে যায়। উঁচু অংশকে স্থল ভাগ ও নিচু পানিভর্তি অংশকে জলভাগ বলে।
ভূপৃষ্ঠের ৭ ভাগের ৫ ভাগ (৭১%) পানি এবং ২ ভাগ (২৯%) স্থল।স্থল ভাগের পরিমান কম। এই স্থল ভাগকে আবার কয়েকটি বড় বড় খন্ডেবিভক্ত। এরুপ এক একটি খন্ডকে এক একটি মহাদেশ বলে। ১) এশিয়া ৭) এন্টার্ক্টিকা ৬) অস্ট্রেলিয়া ২) আফ্রিকা ৩) ইউরোপ ৫) দক্ষিণ আমেরিকা ৪) উত্তর আমেরিকা
ভূপৃষ্ঠের ভূমিরূপঃ • ভূপৃষ্ঠের নানা অংশের ভূপ্রকৃতি নানারুপ দেখাযায়। যেমন, কোথাও উঁচু, কোথাও নিচু আবার কোথাও বিস্তৃত সমতল ভূমি। এছাড়া একই দেশের বিভিন্ন অংশের ভূমির বিভিন্ন রুপ দেখতে পাওয়া যায়। • আমাদের বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের পূর্বাংশ পাহাড়িয়া উঁচুভূমি, রাজশাহী বিভাগের পশ্চিম-উত্তরাংশ উঁচু সমভূমি এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দক্ষিণাংশ নিম্নভূমি। ভূমিকম্প, আগ্ন্যুৎপাত, উত্তাপ, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত, তুষার, হিমবাহ, নদী, সমুদ্র ইত্যাদি ভূমিরূপ পরিবর্তনকারী প্রাকৃতিক শক্তি। এদের একক বা যৌথ কার্যের ফলে ভূপৃষ্ঠের পরিবর্তন হয়। এভাবে নান ভুমিরূপ সৃষ্টি হয়। ভুমিরুপ অনুসারে ভূপৃষ্ঠকে প্রধানত তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যেমন, (ক) পর্বত, (খ) মালভূমি ও (গ) সমভূমি
ক) পর্বত কী ও কত প্রকার? • ভূপৃষ্ঠের অতি উচ্চ, বহুদুর বিস্তৃত খাড়া ঢালবিশিষ্ট শিলাস্তুপকে পর্বত বলে। যেমনঃ হিমালয় পর্বত। পর্বত আপেক্ষা নিচু আকারে ছোট শিলাস্তুপকে পাহাড় বলে। যেমনঃ চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডু পাহাড়। • ১। ভঙ্গিল বা ভাঁজ পর্বত, ২। স্তুপ পর্বত, ৩। আগ্নেয় বা সঞ্চয়জাত পর্বত ও ৪। ল্যাকোলিথ পর্বত।
১। ভঙ্গিল বা ভাঁজ পর্বতঃ ভূ-অভ্যন্তরের স্বতাড়িত বৈশিষ্ট্যের কারণে পৃথিবীর অভ্যান্তরে অলোড়ন হয়। এই আলোড়নকে ভূয়ালোড়ন বলে। এই আলোড়নের ফলে পৃথিবীর পর্বত ও মহাদেশসমূহ গঠিত হয়। ভূআলোড়নের ফলে ভূপৃষ্ঠের কোনস্থান বসে যায় আবার কোনো স্থান উঁচু হয়ে যায়। যদি ভাঁজ হয়ে কোনো স্থানের শিলা স্তর উঁচু হয়ে ওঠে তখন ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয়।
2)স্তুপ পর্বতঃ • ভূআলোড়নের ফলে ভূপৃষ্ঠ খাড়া ভাবে ফেটে যায় এবং অনেক সময় একদিকের অংশ নিচে বসে যায়। এ বসে যাওয়া অংশকে চ্যুতি বলে। কখনও কখনও দুই চ্যুতির দুই পাশের অংশ নিচে ডেবে যায়। কিন্তু মাঝখানের অংশ যথাস্থানে অবস্থান করে। মাঝের এই অংশটিকে স্তুপ পর্বত বলে। আর যদি নিচের দিকে বসে যায় তবে তাকে স্রস্ত উপত্যকা বলে। পাকিস্তানের পাঞ্জাবের লবণ পর্বত ও ভারতের দাক্ষিণাত্যের পশ্চিম ঘাট পর্বত।
৩) আগ্নেয় বা সঞ্চয়জাত পর্বতঃ • ভূপৃষ্ঠের কোনো ফাটল দিয়ে নির্গত উত্তপ্ত লাভা, ভস্ম, গ্যাস ইত্যাদ পদার্থ শীতল ও কঠিন হয়ে যে পর্বত সৃষ্টি হয় তাকে আগ্নেয় পর্বত বলে। যেমন-জাপানের ফুজিয়ামা, ইটালির ভিসুভিয়াস, আফ্রিকার কিলিমানজারো প্রভৃতি সঞ্চয়জাত পর্বত।
৪) ল্যাকোলিত পর্বতঃ • ভূপৃষ্ঠের অভ্যন্তরে যে উত্তপ্ত গলিত পদার্থ থাকে তাকে ম্যাগমা বলে। কখনও কখনও পৃথিবীর অভ্যন্তর থেকে ম্যাগমা উর্ধ্ব চাপের ফলে ভূপৃষ্ঠের ওপর বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে কিন্তু বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ভূত্বকের নিচে জমাট বেঁধে গম্বুজ আকার ধারণ করে। এভাবে যে পর্বত গঠিত হয় তাকে ল্যাকোলিত পর্বত বলে। যেমন- যুক্তরাষ্ট্রের উতাহ্ প্রদেশের হেনরি পর্বত।
ক্ষয়জাত পর্বতঃ • উপরের বর্ণিত চার প্রকার পর্বত এবং সুউচ্চ মালভুমি বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। মূল পর্বতের এবং মালভূমির অনেক অংশ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ার পর পর্বত ও মালভূমির অনেক অবনমিত অংশ পর্বতের আকৃতিতে দাঁড়িয়ে থাকে। একে ক্ষয়জাত পর্বত বলে। যেমন ভারতের বিন্ধ্যা পর্বত ও আফ্রিকার কং পর্বত।
উপত্যকাঃ দুইটি পর্বতের মধ্যবর্তি নিম্নভূমিকে উপত্যকা বলে। উপত্যকা চার প্রকারের যথা-পার্বত্য উপত্যকা, হিমবাহ উপত্যকা, স্রস্ত উপত্যকা ও নদী উপত্যকা। ১) পার্বত্য উপত্যকাঃ ২) হিমবাহ উপত্যকাঃ পর্বতের খুব উচু অংশে জমাট বাঁধা বরফের বিশাল স্তুপ প্রধানত মাধ্যাকর্ষন শক্তির কারণে ধিরে ধিরে নিচের দিকে গড়িয়ে আসে। এই চলমান বরফের স্তুপকে হিমবাহ বলে। এই পার্বত্য অঞ্চলের চলাচলের পথে হিমবাহের ঘর্ষণে যে উপত্যকা সৃষ্টি হয়, তাকে হিমাবাহ বলে। এটা ইংরেজী (U) অক্ষর এর মত। • দুইটি পর্বতের মধ্যবর্তি নিম্নভূমিকে পার্বত্য উপত্যকা বলে। ভঙ্গিল পর্বতের দুইটি ভাঁজের মধ্যে এ ধরণের উপত্যকা দেখা যায়।
৪) নদী উপত্যকাঃ ৩) স্রস্ত উপত্যকাঃ • ভূআলোড়নের ফলে ভূপৃষ্ঠের দুইটি সামান্তরাল চ্যুতির মধ্যবর্তি স্থান নিচের দিকে বসে গেলে যে উপত্যকার সৃষ্টি হয় তাকে স্রস্ত উপত্যকা বলে। • নদীর প্রবল স্রোতের পথে ফলে গতি পথে গভীর খাতের সৃষ্টি হয়। এরুপ খাতকে নদী উপত্যকা বলে।
দলীয় কাজ নিম্নে চিত্রে কোন পর্বত? এর বৈশিষ্ট্যগুলো বিশ্লেষণ কর।
আগ্নেয় পর্বতের চিত্র। এর বৈশিষ্ট্য গুলো নিম্নে দেওয়া হল। ১। আগ্নেয় পর্বতের আকৃতি মোচার মতো। ২। আগ্নেয় পর্বত দীর্ঘসময় ধরে গঠীত হয় এবং এর উচ্চতা ও আয়তন ক্রমশ বৃধি পায়। ৩। এ পর্বত আগ্নেও শিলা দ্বারা গঠিত। ৪। এ পর্বতের জ্বালামুখ দিয়ে গ্যাস, গলিত পদার্থ, লাভা ইত্যাদি বের হয়ে আসে। ৫। আগ্নেয় পর্বতের ফলে নুতন দ্বীপ সৃষ্টি হতে পারে। ৬। এ পর্বতের লাভাস্ত্ররের মাঝে পাথর খন্ড ও ছাই দেখা যায়।
ভূপৃষ্ঠের কত ভাগ পানি ও কত ভাগ স্থল? • মহাদেশ কয়টি ও কী কী? • পাহাড় বলতে কী বুঝ? • পাহাড়ের প্রকার ভেদ গুলো বল? • সঞ্চয়জাত পর্বত কাকে বলে? • উপত্যকা বলতে কী বুঝ? উপত্যকা কত প্রকার ও কী কী?
বাড়ীর কাজ • পৃথিবী পৃষ্ঠের ভূমিরুপ কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাখ্যা কর।